28 March, 2024

BY- Aajtak Bangla

 রসুন থেকে ন্যাপথলিন, এইসব টোটকাতেই বাড়িতে সাপ আসবে না

সাপ জুড়েই রয়েছে একাধিক মিথ। ভয়ংকর, বিষধরদের আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত মানুষ কখনও না বুঝেই পিটিয়ে মারেন ওদের।

গরমের সময়  বিষধর সাপের উপদ্রব বন্ধে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।

সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচার জন্য কার্বলিক অ্যাসিড ব্যবহার করা যায়। এটি না পাওয়া গেলে এর বিকল্প হিসেবে যে সাবানে কার্বলিক অ্যাসিড রয়েছে সেই সাবান টুকরো টুকরো করে শোয়ার ঘরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখতে পারেন।

এক্ষেত্রে  বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে লাল রঙের সাবান। কারণ লাল সাবানে যেহেতু কার্বলিক অ্যাসিড বা কর্বনিল থাকে, তাই সেই সাবান টুকরো টুকরো করে দিলে ঘরে সাপ প্রবেশ আটকানো যেতে পারে।

সবচেয়ে ভালো ফল পেতে হলে কার্বলিক অ্যাসিড ব্যবহার করতে হবে। কার্বলিক অ্যাসিডযুক্ত সাবান পাওয়া না গেলে সজনে গাছের ডাল কেটে টুকরো টুকরো করে ঘরের চারদিকে রাখতে হবে। এতে সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচা যাবে।

কার্বলিক অ্যাসিডের পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে সালফার গুঁড়ো। বাড়ির যে সকল জায়গায় সাপের আনাগোনা বেশি সেই জায়গাগুলিতে সালফারের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।

সালফারের গুঁড়ো সাপের চামড়ায় জ্বালা ধরিয়ে দেয়। ফলে সাপের গায়ে একবার লাগলে সাপ আর সেদিকে খুব একটা যায় না।

কার্বলিক অ্যাসিড না পেলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে রসুন ও সরষের তেল দিয়েও সাপ আটাকানোর চোষ্টা করা যেতে পারে। রসুন বেঁটে নিয়ে তার সঙ্গে সরষের তেল মিশিয়ে নিন। তা রেখে দিন একদিন। সেই মিশ্রণ বাড়ির চারপাশে ছিটিয়ে দিন।

ন্যাপথলিন গুঁড়ো দিয়েও সাপ তাড়ানো যেতে পারে। কার্লিক অ্যাসিড না পেলে ন্যাপথলিন গুঁড়ো করে বাড়ির সাপ উপদ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে দিতে পারেন। ন্যাপথলিনের গন্ধ থেকে সাপ দূরে থাকে ও আনাগোনা কমে।

গোল মরিচ বা লঙ্কার গুঁড়ো আর লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে তা ছড়িয়ে দিতে পারেন আশপাশে। এতে সাপ সেই রাস্তা ধরে আসে না। এছাড়া পচে যাওয়া পেঁয়াজ বা সতেজ পেঁয়াজ বেটে বাড়ির আশপাশে ছড়িয়ে দিতে পারেন।

এছাড়া যদি কার্বলিক অ্যাসিড না থাকে বাড়ির আশপাশে যদি জলা জায়গা থাকে, বা অনেকদিন কোথাও জল জমে থাকে, সেখানে একটু ভিনিগার ছড়িয়ে দিতে পারেন। তাহলে সাপ সেই জায়গায় লুকিয়ে থাকলে সরে যাবে।