25 April, 2024

BY- Aajtak Bangla

 তীব্র গরমে কাহিল আপনার প্রিয় পোষ্য? এভাবে যত্ন নিলেই থাকবে চনমনে

ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রা। এই তীব্র গরমে টেকা মুশকিল। এই গরমে বাড়ির পোষ্যদেরও বেহাল দশা।

গরমে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে অসুস্থ হতে পারে ঘরের পোষ্যটি।

বাড়িতে কুকুর বিড়াল অনেকেই পোষেন। নিজের সন্তানের মতোই আদর ভালোবাসা পায় তারা। কিন্তু গরমকালটা ওদের জন্য সব থেকে কষ্ট কর।

বাড়ির পোষ্য কুকুর বিড়ালের কথা বিশেষ করে বলা হচ্ছে কারণ, ওরা সবেতেই একটু আলাদা যত্ন পায়। তাই ওদের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও বদলে যায়। সেই তুলনায় রাস্তার কুকুর-বিড়ালরাও গরমে কষ্ট পায় ঠিকই। কিন্তু সামান্য হলেও বাড়ির পোষা জীবেদের থেকে ওদের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বেশি।

 তার পরেও যখনই রাস্তাতেও এমন কুকুর বা বিড়ালকে কষ্ট পেতে দেখলে, কিছু না হোক একটু ঠান্ডা জল খেতে দিন। মাথায়, চোখে মুখে একটু জল দিয়ে দিন। তবে এখানে আলোচনার বিষয় বাড়ির পোষ্যরা।

পোষ্যকে অবশ্যই পরিস্কার রাখুন। ওদের নখ কেটে দিন নিয়মিত। বিড়াল-কুকুরকে স্নান করান সপ্তাহে দু-তিনবার। বাজারে পোষ্যদের জন্য বিশেষ শ্যাম্পু কিনতে পাওয়া যায়, সেটি ব্যবহার করুন।

দিনের বেলায় চেষ্টা করবেন ওদের বাড়ির ভেতরেই রাখতে, বাড়ির বাইরে বের না করতে।

গরমের দিনে ডিহাইড্রেশন অর্থাৎ শরীরে জলের ঘাটতির সমস্যা হতে পারে পোষ্যদেরও। তাই ওরা ঠিকমতো জল  পান করছে কি না সেই দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।

যদি দেখেন পোষ্যরা ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছে বা বুঝতে পারেন ওদের খাওয়ায় অরুচি দেখা দিয়েছে তাহলে অবহেলা না করে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

 কারণ শরীর খারাপ হলে পোষ্যরা সবার আগে খাওয়া বন্ধ করে দেয়। গরমে পোষ্যদের সুস্থ রাখার অন্যতম উপায় হলো নির্দিষ্ট সময় পরপর তাদের সঠিক পরিমাণে জল পান করানো। তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে তাদেরকে জল পান করাতে হবে।

অনেকেই পোষ্যদের ফিট রাখার জন্য শরীরচর্চা করান। তবে দাবদাহে দিনের বেলায় কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে পোষ্যদের শরীরচর্চা করাবেন না। ওরা অসুস্থ হয়ে পড়বে।য়

বাড়ির ভেতরে বিভিন্ন ধরনের খেলধুলায় যুক্ত রাখুন আদরের পোষ্যদের। নিজেও দিনের কিছুটা সময় পোষ্যদের সঙ্গে কাটান। পোষ্যদের জন্য কিনতে পারেন কিছু খেলনাও।

আর যেসব খাবার খেলে পোষ্যদের শরীর ঠান্ডা থাকবে সেই ধরনের খাবার খাওয়ান।

বাড়িতে পোষ্যরা যে ঘরে থাকে সেখানকার পরিবেশ ঠান্ডা, আরামদায়ক রাখার চেষ্টা করুন।

যদি দেখেন পোষ্য খুব ঝিমিয়ে আছে, খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা দেখাচ্ছে, ঠিকভাবে জল পান করছে না, খেলাধুলো করছে না, তাহলে অবশ্যই একবার পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া দরকার।