BY- Aajtak Bangla

তীব্র গরমেও এসব গাছ ঘর শীতল রাখে, থাকল ১ ডজন হাউসপ্লান্টের খোঁজ

29 April, 2024

ঘরের ভেতরের গাছ দিনের আলোয় কার্বন-ডাই-আক্সইডকে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনে পরিণত করে। শুধু তাই নয়, কোনো কোনো গাছ বেনজিন, ফর্মালডিহাইডের মতো দূষিত পদার্থকেও বাতাস থেকে টেনে নেয়।

মানুষের অক্সিজেনের চাহিদা তুঙ্গে। অ্যাজমা, সাইনাস, ব্রঙ্কাইটিস থেকে শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। তবে এই পরিস্থিতিতে টাটকা প্রাকৃতিক অক্সিজেনের উপর ভরসা তো রাখতেই পারেন। সতেজ বাতাসে শ্বাস নিতে ঘরে রাখুন অক্সিজেন সমৃদ্ধ গাছ।

গবেষণায় দেখা গেছে, এমন কিছু গাছ রয়েছে, যা ঘরে রাখলে শুধুমাত্র অক্সিজেনই পাবেন না, সঙ্গে ঘরের মধ্যে থাকা দূষিত বাতাসও পরিষ্কার করে ও শীতল রাখে পরিবেশ।

ঘরকে সবসময় ঠান্ডা করতে বাড়ির আশপাশে, বারান্দায় কিংবা ঘরের ভেতরে লাগাতে পারেন কিছু বিশেষ গাছ। যেগুলো ঘরকে প্রাকৃতিকভাবে শীতল করে তুলবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক গরম থেকে বাঁচতে কোন গাছগুলোকে বাড়িতে অবশ্যই লাগাবেন।

ঘর সাজানোর গাছ হিসেবে মানি প্ল্যান্ট দারুণ জনপ্রিয়। সুদৃশ্য একগুচ্ছ পাতা নিয়ে এ গাছ গৃহশোভা বাড়ায়। বহু বাড়িতেই এই গাছ থাকে। একে বাঁচানোর জন্যও বিশেষ পরিশ্রম করতে হয় না।

ঘর সাজানোর গাছ হিসেবে মানি প্ল্যান্ট দারুণ জনপ্রিয়। সুদৃশ্য একগুচ্ছ পাতা নিয়ে এ গাছ গৃহশোভা বাড়ায়। বহু বাড়িতেই এই গাছ থাকে। একে বাঁচানোর জন্যও বিশেষ পরিশ্রম করতে হয় না।

অ্যালোভেরা, বাংলায় যাকে বলে ঘৃতকুমারি। ঘরের অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে এর জুড়ি নেই। ঘরের মধ্যে থাকা কার্বন মনো-অক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, ফর্মালডিহাইডের (টক্সিন) মতো ক্ষতিকারক জিনিস শোষণ করে নেয়। মাত্র এখটি গাছই ৯টি বায়োলজিকাল এয়ার পিউরিফায়ার ক্যানের মতো বাতাস পরিষ্কার করার কাজ করতে পারে।

বাতাসে উপস্থিত রাসায়নিক এবং টক্সিন নিমেষের মধ্যে শুষে নেয় পিস লিলি। বিশেষত ট্রাইক্লোরোথাইলিন এবং ফর্মালডিহাইড জাতীয় টক্সিন শুষে বাতাস পরিষ্কার করে দেয় এবং পরিবেশ শীতল রাখে। তবে এর পাতা শিশু এবং পোষ্যদের শরীরে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।

নাসার গবেষকদের মতে আইভি লতা মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘরের বাতাসের প্রায় ৬০ শতাংশ টক্সিন এবং ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত দুর্গন্ধ শুষে নিতে পারে এবং ঘর শীতল রাখে।

চাইনিজ এভারগ্রিন  বিষাক্ত পদার্থ দূর করে বাতাসকে শীতল ও পরিশুদ্ধ করার জন্য কার্যকর। বাড়িতে এই গাছ একাধিক একসঙ্গে রাখতে চেষ্টা করবেন। কারণ একসঙ্গে থাকলে এ গাছ নিজস্ব বায়ুমণ্ডলীয় বাস্তুতন্ত্র তৈরি করতে পারে।

রাবার ফিগ গাছটি বাতাস থেকে বিষাক্ত পদার্থ টেনে নেয়। পাশাপাশি ঘরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে।

ঘরকে শীতল রাখতে বসার ঘরে রাখতে পারেন ক্যাকটাস। টবে লাগানোর উপযোগী কয়েকটি ক্যাকটাসের নাম হলো একাইনো, এপিফাইলাম, নিপল, সেরিয়াস, গোল্ডেন ব্যারেল, ওল্ড লেডি, সেরিয়াস, ফনিমনসা, বানি ইয়ারস, ক্যাব ক্যাকটাস ইত্যাদি। এসব গাছ ঘরের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে। সেই সঙ্গে বাড়িকেও রাখে শীতল।

অ্যারিকা পাম গাছ অন্য গাছের তুলনায় বাতাসে বেশি অক্সিজেন সরবরাহ করে। তাই ঘর দ্রুত ঠান্ডা ও শীতল করতে এ গাছের জুড়ি মেলা ভার।

বনসাই বট উদ্ভিদ ঘরের বাতাস শীতল এবং আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এ গাছ ঘরের যেস্থানে লাগানো হয় সেই স্থানসহ আশপাশে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেকটাই বাড়ে।

অ্যান্থুরিয়াম (ফ্ল্যামিংগো লিলি) স্প্যাথিফাইলাম গোত্রের গাছ। কিন্তু এর ফুলের রং আলদা। অন্দরসজ্জা এবং বাতাস পরিশুদ্ধ ও শীতল রাখতে পারে এই গাছ।

স্পাইডার প্লান্ট গাছটির বিশেষত্ব হল খুব কম আলোতেও এরা সালোকসংশ্লেষণ করতে পারে। ফলে অক্সিজেনের জোগান অব্যাহত রাখে। স্টাইরিন, গ্যাসোলিন জাতীয় টক্সিন বাতাস থেকে শুষে নিতে সক্ষম। একটা গাছ প্রায় ২০০ বর্গ মিটার এলাকার বাতাস পরিশুদ্ধ করে তুলতে পারে।