24 April, 2024
BY- Aajtak Bangla
হিট স্ট্রোক মানে হলো অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, যার ফলে সাধারণত প্রচণ্ড জ্বরে হয় ।
হিট স্ট্রোকের ফলে অস্বাভাবিক মানসিক আচরণ দেখা দিতে পারে। যেমন কনফিউশান, বিড় বিড় করা, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা, হ্যালুসিনেশন, মাথাব্যথা হওয়া, ঝিম ঝিম করা, হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেরা।
হিট স্ট্রোকে মূলত শরীরের কুলিং সিস্টেম ফেইল করে। এতে ঘাম কমে গিয়ে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়, বমি বমি ভাব হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, ডিহাইড্রেশনের ফলে ইলেকট্রোলাইটস ইম ব্যালেন্স হয়, মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়। এমনকি শুরু হতে পারে খিচুনি। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ফল খাওয়া হিট স্ট্রোকের জন্য উপকারী হলেও কিছু ফল হিট স্ট্রোকে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই হিট স্ট্রোকে কোন ফল উপকারী এবং কোন ফল অপকারী এটা না জেনে ফল খেলে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।
কম ক্যালরি যুক্ত এবং কম চিনিযুক্ত রসাল ফল হিট স্ট্রোকের জন্য উপকারী। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে শসা, বাতাবি লেবু, আনারস, তরমুজ।
এ ছাড়া নাশপাতি, কাঁচা আম , কাঁচা পেঁপে , আপেল, স্ট্রবেরি, লেবুও কম ক্যালরি যুক্ত ফল। এসব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
হিট স্ট্রোকের জন্য অপকারী বা ক্ষতিকর ফলগুলি হল সাধারণত প্রচুর চিনিযুক্ত ফল এবং উচ্চ ক্যালরি উৎপন্নকারী ফল, যেমন- পাকা কাঁঠাল, পেয়ারা, পাকা আম, আঙুর, লিচু, পাকা কলা, পাকা পেঁপে, ডালিম, মিষ্টি তেঁতুল, পেয়ারা।।
মনে রাখবেন পাকা পেঁপে ও পাঁকা কাঁঠাল হিট স্ট্রোকের বিপত্তি বাড়িয়ে দেবে এবং গরম পানীয় যেমন চা ও কফি পান করা যাবে না।
হিট স্ট্রোক হলে শরীরকে ঠান্ডা করতে হবে, অর্থাৎ ঠান্ডা জল দিয়ে মুছে দেওয়া বারবার, ছায়া ও বাতাসযুক্ত স্থানে বসা, ঠান্ডা জল দিয়ে তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে ঘাড় মাথা, উরু স্পঞ্জিং করা। ঘাড়ে ঠান্ডা জলে ভিজানো রুমাল রাখা যেতে পারে।
ডিহাইড্রেশন ও পিপাসা কমাতে নরমাল ঠান্ডা জল, লেবুর শরবত এবং খাবার স্যালাইন খুবই উপকারী। তবে খাবার স্যালাইন নিয়মমতো বানাতে হবে।