18 April, 2024

BY- Aajtak Bangla

সুগার হলে কী খাবেন-আর কী খাবেন না? সুগারের ডাক্তার জানালেন

সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত। ডায়াবেটিসের ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় কারণ আপনার শরীর হয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করে না বা সঠিকভাবে উৎপাদিত ইনসুলিন ব্যবহার করে না।।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম সেরা উপায় হল ডায়েট। ডায়াবেটিস-বান্ধব খাদ্যের লক্ষ্য হল ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করা, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা এবং সাধারণ স্বাস্থ্যের উন্নতি করা।

আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে আপনার দানা শস্য, তাজা ফল এবং শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া উচিত।

শস্য: গোটা শস্য ধীরে ধীরে হজম হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখে। কারণ তাদের উচ্চ ফাইবার সামগ্রী এবং অন্যান্য পুষ্টিসামগ্রী রয়েছে। গোটা শস্যে কম গ্লাইসেমিক সূচক (জিআই)ও রয়েছে। এছাড়াও স্বাভাবিকভাবেই এগুলিতে সোডিয়াম এবং চর্বি কম।

টাটকা ফল এবং শাকসবজি হল ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি বড় উৎস। পালং শাক, ব্রকলি এবং গাজরের মতো অ-স্টার্চি সবজি খান এবং যদি আপনি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চান তবে হাই গ্লাইসেমিক সূচক ফল এড়িয়ে চলুন।

চর্বিহীন প্রোটিন: আপনি যদি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে চান, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে চান, তবে প্রক্রিয়াজাত মাংস থেকে দূরে থাকুন এবং পরিবর্তে ভাজা বা বেকড মাংস বেছে নিন।

স্বাস্থ্যকর চর্বি: বাদাম, বীজ এবং অ্যাভোকাডো স্বাস্থ্যকর চর্বির ভাল উৎস, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, প্রদাহ কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ভাজা খাবার এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবারের মতো ক্ষতিকারক চর্বিগুলি এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ডায়াবেটিসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে খাবার খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং খিদে নিবারণ করতে সাহায্য করতে পারে।

সবটা ভাল করে আবার মাখা হলে কাঁচা সর্ষের তেল ছড়িয়ে দিতে হবে। সব ভাল করে মাখামাখি হলেই তৈরি মাছ মাখা। পান্তা ভাতের সঙ্গে মেখে খেতে খুব ভাল লাগবে।